তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ অনুসারে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের একটি সংযুক্ত দপ্তর হিসেবে ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় (সিসিএ) গঠিত হয়। এ সংস্থার প্রধান হলেন একজন নিয়ন্ত্রক যিনি সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হন। সংস্থার প্রধান হিসাবে নিয়ন্ত্রক ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের কার্যাবলী তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ এবং তাদের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। দেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতির ফলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির আইনগত বৈধতা ও নিরপত্তা প্রদান করা সমীচীন ও প্রয়োজন, এ জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মাধ্যমে ডিজিটাল স্বাক্ষর ও ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডের আইনগত স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালায় ডিজিটাল স্বাক্ষর প্রবর্তনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সিসিএ কার্যালয়ের মাধ্যমে দেশে ডিজিটাল স্বাক্ষর প্রবর্তনের কার্যক্রম শুরু করা হয় যা ধীরে ধীরে সমগ্র বাংলাদেশে এ কার্যালয়ের মাধ্যমে বিস্তৃত করা হচ্ছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন অনুযায়ী সকল সরকারী অফিসে ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর ও ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড ব্যবহারের স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে ফলে ধীরে ধীরে সকল সরকারী অফিসে ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর ও ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডের ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।
দেশে ডিজিটাল স্বাক্ষর প্রবর্তন ও পাবলিক কী ইনফ্রাস্ট্রাকচারের (PKI) উন্নয়ন সাধন করার লক্ষ্যে ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় (সিসিএ) হতে ৮ টি প্রতিষ্ঠানকে সার্টিফায়িং অথরিটি (সিএ) লাইসেন্স প্রদান করা হয়।
রুট কী জেনারেশন সেরিমনির মাধ্যমে দেশে ডিজিটাল স্বাক্ষর চালুকরণের অন্যতম ধাপ সম্পন্ন করা হয়েছে। সরকার নিম্নবর্ণিত লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য দেশে ডিজিটাল স্বাক্ষর চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেঃ
১। পেপারলেস গভ:মেন্ট করেসপনডেন্স
২। ই- গভ:মেন্ট
৩। ই- কমার্স
৪। ই- প্রকিউরমেন্ট
৫। ইলেক্ট্রনিক ডকুমেন্ট সাইনিং
৬। ডিজিটাল স্বাক্ষর ব্যবহারের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যাংকিং
৭। ডিভাইস ও সার্ভার সাইনিং
৮। সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ